প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে চবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রথম প্রকাশঃ নভেম্বর ৬, ২০২৫ সময়ঃ ৬:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:২৪ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

সংগীত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জারিন সুভা সমাবেশের সঞ্চালনা করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা সরকারের সিদ্ধান্তকে দেশের শিল্পচর্চা ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে: প্রাথমিক পর্যায়ে সংগীত শিক্ষকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সংগীত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ, বিসিএস ক্যাডারে সংগীত বিভাগের সংযুক্তি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানে সংগীত শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার এবং সার্টিফিকেট কোর্সকে স্নাতকের সমমান না দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত গেজেট প্রকাশ।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘সংগীত শিক্ষা বন্ধ নয়, শিশুর হাসি নষ্ট হয়’ ও ‘সংগীতহীন স্কুল নয়, সৃজনশীলতার মৃত্যু হয়’ স্লোগান দেন।

সংগীত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নবাব ফয়জুন্নেছা হল সংসদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক প্রত্যাশা চাকমা বলেন, “সাহিত্য-সংস্কৃতি ছাড়া কোনো দেশ বা জাতি বিকশিত হতে পারে না। অন্য দেশে যেখানে সংগীত বাধ্যতামূলক, সেখানে আমাদের দেশে সংগীত শিক্ষাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।”

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জাকিরুল ইসলাম (জশদ জাকির) বলেন, “সংগীত শুধু শিক্ষা নয়, চিকিৎসাতেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা মানসিক সমস্যায় ভোগা মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সংগীত কার্যকর—এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও তা হঠাৎ বাতিল করেছে, যার যৌক্তিক কারণ কেউ দেখাতে পারেনি।”

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G